• ০৩ মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি

যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৯৬ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে আমি শ্রমিকদের দেখেছি, তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা মজুরি বাড়িয়েছিলাম। যতবার সরকারে এসেছি ততবারই মজুরি বৃদ্ধি করেছি। শ্রমিকদের আরো উপযুক্ত করে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। গতকাল বুধবার (১ মে) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মে দিবস উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর মে দিবসকে প্রথমে শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতিও দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, মা যেমন একটা রুগ্ণ সন্তানকে বুকে নিয়ে লালন-পালন করে গড়ে তোলেন, ঠিক সেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব হাতে নিয়ে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেন। তাদের কর্মসংস্থান যাতে ঠিক থাকে সে পদক্ষেপটাই তিনি হাতে নিয়েছিলেন। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মজুরি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মে দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য সে বৈষম্য তিনি দূর করতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য। আমরা সব সময় সেই পদক্ষেপ নিই। জাতির পিতা যখন দেশটাকে গড়ে তুলেছেন, তখন যে সব মালিক বাংলাদেশে ছিল শিল্প কলকারখানা মালিক তারা হবেন। আর যেগুলো মালিকানাবিহীন সেগুলো সরকার চালাবে। সে ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন, সরকারি খাতকেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, মাত্র নয় মাসের তিনি আমাদের একটি সংবিধান দেন। সংবিধানের ১৩ অনুচ্ছেদে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা কী? সেটা কিন্তু স্পষ্ট বলা আছে। সেখানে যেমন সরকারি প্রতিষ্ঠার থাকবে, সমবায় হবে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকবে। অর্থনীতিকে বহুমুখী করে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, মানুষের জীবনমান উন্নত করার এটাই ছিল জাতির পিতা লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। সরকারপ্রধান বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা সরকার গঠন করে আমাদের প্রধান কাজ হলো মানুষের কল্যাণ করা। সেই প্রচেষ্টাই আমরা হাতে নিয়েছিলাম। আমরা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ২০০৮ নির্বাচনের ইশতেহারে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহীম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশীর কবির, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান।

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের সময় পেছাল

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের সময় পেছাল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের সময় পিছিয়েছে। নতুন সময় অনুযায়ী আগামী শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক ছয় দিনের থাইল্যান্ড সফরের বিস্তারিত তুলে ধরবেন। বুধবার (১ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে এক সংশোধনী বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে প্রেস উইং থেকে বলা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৯ এপ্রিল সকালে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে এবং দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় সফরের অংশ হিসেবে গত ২৪ এপ্রিল ব্যাংককে পৌঁছান শেখ হাসিনা। এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। এ ছাড়া, তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। এই অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি সব বিশ্বনেতাকে যুদ্ধ, আক্রমণ ও আগ্রাসন বন্ধ করে সংঘাতকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।

কিশোরগঞ্জে এগারসিন্দুর গৌধূলী ট্রেনে আগুন

কিশোরগঞ্জে এগারসিন্দুর গৌধূলী ট্রেনে আগুন

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী এগারসিন্দুর গৌধূলী ট্রেনের ‘ঘ’ বগিতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচর স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার পর ‘ঘ’ বগিতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় ট্রেনে থাকা যাত্রীরা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকে লাফিয়ে ট্রেন থেকে নামার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে। এ সময় দ্রুত ট্রেনের বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ট্রেনে থাকা রেলওয়ের কর্মীরা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে রাত ১২টার কিছুক্ষণ পর এসে পৌঁছেছে। ট্রেন আসার পর যাত্রীরা নামার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেনের সব দরজা-জানালা লাগিয়ে দেয় কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। ট্রেনে আগুন লাগার সময় ট্রেনে অবস্থানরত যাত্রী মো. জুয়েল রাত সাড়ে ১১টায় জানান, এগারসিন্দুর গোধূলি ট্রেনে আগুন লেগেছে, সবার কাছে দোয়া চাই। আমিও এই ট্রেনেই। আমরা এখন মানিকখালি, আলহামদুলিল্লাহ আগুন নিয়ন্ত্রণে। মৃত্যুর কতো কাছে, আল্লাহর রহমতে সবাই হেফাজতে আছি। এগারসিন্দুর গৌধুলি ট্রেনের ‘ঘ’ বগির পাশের বগিতে থাকা যাত্রী সাজ্জাদ শুভ জানান, সরারচর থেকে মানিকখালী স্টেশনটি ১০ মিনিটের পথ। আজ পথটি বেশ দীর্ঘ মনে হলো। আগুন লাগার পর মানুষের চিৎকার, আল্লাহ বলে ডেকে বাঁচার আঁকুতি, এক বগি থেকে আরেক বগিতে দৌড়াদৌড়ি ও পাশে আগুনের ধোঁয়া দেখছিলাম। ট্রেনের শেষ দুর্ঘটনাগুলোর কথা মনে করে ভেবেছিলাম এখানেই হইতো শেষ। চেইন টানলাম কাজ করে নাই। সবাই মিলে চেইন টেনেও লাভ হলো না। মেবি আগুনটা ছড়ালে মৃত্যু ছাড়া উপায় ছিল না। তিনি আরো জানান, তবে আল্লাহর রহমতে কিছু হয়নি। কিশোরগঞ্জ স্টেশনে একটু আগে ট্রেন থামল, সবাই নামলাম। ছোট আগুন কিন্তু অনেক বড় বিপদ। এক মুহূর্তে মনে হয়েছিল এই বুঝি শেষ। তবে ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা অস্বীকার করেছেন কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের দ্বায়িত্বরত সহকারী স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, অল্প কিছুক্ষণ আগে এগারসিন্দুর গৌধূলী ট্রেন আমার সামনে স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। আগুন লাগার মতো কোনো তথ্য পাইনি। ট্রেনে আগুন লেগেছে বলে আমার জানা নেই।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে যেসব মার্কেট বন্ধ

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে যেসব মার্কেট বন্ধ

আমাদের প্রতিদিনই জরুরি প্রয়োজনে কোথাও না কোথাও যেতে হয়। আসুন জেনে নেই আজ বৃহস্পতিবার (২ মে ২০২৪) রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে যেসব এলাকা মোহাম্মদপুর, আদাবর, শ্যামলী, গাবতলী, মিরপুর স্টেডিয়াম, চিড়িয়াখানা, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, আসাদগেট, ইস্কাটন, মগবাজার, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগের একাংশ, শান্তিনগর, শাজাহানপুর, শহীদবাগ, শান্তিবাগ, পল্টন, মতিঝিল, ফকিরেরপুল, টিকাটুলি, কাকরাইল, বিজয়নগর, আরামবাগ, সেগুনবাগিচা, হাইকোর্ট ভবন এলাকা, রমনা শিশু পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি মার্কেট, আড়ং, বিআরটিসি মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, শ্যামলী হল মার্কেট, মাজার কর্পোরেট মার্কেট, শাহ্ আলী সুপার মার্কেট, মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, মিরপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, কনকর্ড টুইন টাওয়ার, কর্নফুলি গার্ডেন সিটি, ইস্টার্ন প্লাস, সিটি হার্ট, জোনাকি সুপার মার্কেট, গাজী ভবন, পল্টন সুপার মার্কেট, স্টেডিয়াম মার্কেট-১ এবং ২, গুলিস্তান কমপ্লেক্স, রমনা ভবন, খদ্দর মার্কেট, পীর ইয়ামেনি মার্কেট, বায়তুল মোকাররম মার্কেট, আজিজ কো-ওপারেটিভ মার্কেট, সাকুরা মার্কেট।

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে রাতেই ৩ মামলা

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে রাতেই ৩ মামলা

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান আটক মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই মিরপুর মডেল থানায় এসব মামলা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার বলেন, মিরপুর মডেল থানায় তিনটি অভিযোগে মামলা হবে মিল্টনের বিরুদ্ধে। মামলাগুলো এজাহারভুক্ত হওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এর আগে, রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। তিনি তার বাবাকে পেটানোর কারণে এলাকাবাসী তাকে এলাকাছাড়া করে। এরপর ঢাকায় চলে আসেন। তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তার স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং একাধিক মামলা হবে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা জঘন্য অপরাধ। প্রমাণ মিললে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, শিশুদের ওপর হামলা, আত্মীয়-স্বজন গেলে তাদের মারপিট এবং তার টর্চার সেল, সব কিছুই মামলার মধ্যে আসবে। হারুন অর রশীদ আরো বলেন, মিল্টন ঢাকায় এসে শাহবাগের ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন। সেখানে ওষুধ চুরি করে বিক্রির কারণে মিল্টনকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর একজন নার্সকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ স্থাপনের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন। এর আগে, মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার

দেশে সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে ১৯০ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। এপ্রিলের প্রথম ১৯ দিনে এসেছিল ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার। সে হিসাবে পরের ১০ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৬২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। ফলে প্রতিদিন গড়ে ছয় কোটি ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। বুধবার (১ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে প্রবাসী আয়ের এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে মার্চ মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার ও ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল। বেশির ভাগ ব্যাংক এখন ১১৫ থেকে ১১৬ টাকা দরে প্রবাসী আয় কিনছে। তবে সংকটে থাকা কিছু ব্যাংক বেশি দামেও ডলার কিনছে বলে জানা গেছে। যদিও ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ১১০ টাকা। ফলে আমদানিকারকদেরকে অতিরিক্ত দামে ডলার কিনে আমদানি দায় মেটাতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে ভোক্তার ওপর। দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার এখনো উচ্চ রয়ে গেছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। এর আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে আয় আসে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসী আয় আসে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, যা এখন পর্যন্ত এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়

অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, অন্যদের কারণে অনেক দেশকে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে হয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতি সামগ্রিক উন্নয়নের পথে সহায়ক হবার পাশাপাশি হুমকি হয়েও উঠতে পারে বলে শঙ্কা তার। প্রযুক্তির সক্ষমতা উন্নত দেশগুলোতে সীমিত না রেখে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নেতারা। গত সোমবার সউদী আরবের রিয়াদে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। যেখানে ৯০টি দেশের প্রায় ১ হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন। বৈশ্বিক সহযোগিতা, প্রবৃদ্ধি ও জ্বালানি নিয়ে আলোচনা করেন বিভিন্ন দেশের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। এতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজ দেশের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনা মহামারিতেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত ছিলো। করোনার আগ পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিলো। শিক্ষা-স্বাস্থ্য, কৃষি-শিল্প সব খাতে অগ্রগতি হচ্ছিলো। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারনে অনুমোদনের পরপরই কারনে আমরা করোনার টিকা জোগাড় করতে পেরেছি। করোনার আঘাতও সরকার ভালোভাবে সামলে নিয়েছে। সে সময় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৫ শতাংশ। সেই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতেই অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যে কারণে পড়তে হয় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে। এতে বাংলাদেশের কোনো দায় না থাকলেও ভুগতে হচ্ছে ঠিকই। সালমান এফ রহমান বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আমাদেকে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে। টাকার বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়েছে। ১২ বছর অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকলেও, হঠাৎ ডলারের বিপরিতে টাকাকে বড় ধরনের অবমূল্যায়নের মুখে পড়তে হয়েছে। যুদ্ধ আমাদের সমস্যায় ফেলেছে কিন্তু এর দায় আমাদের নয়। আলোচনায় গুরুত্ব পায় শিল্প কারখানায় রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার। এক্ষেত্রে সালমান এফ রহমান আশঙ্কা করে বলেন, অতি মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তবে প্রযুক্তির সক্ষমতা ভাগাভাগি করলে সুফল পেতে পারে পুরো বিশ্ব। আগামী ৫ বছরে এআই এমন জায়গায় পৌছে যাবে যা আমাদের চিন্তার বাইরে। ভবিষ্যতে মানুষের চেয়েও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। কর্মক্ষেত্রে মানুষকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবে। এরই পরিপ্রেক্ষীতে বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নতুন ভাবে ডেলে সাজাতে হতে পারে। গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্ল্যাকরক কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ল্যারি ফিংক বলেন, জনসংখ্যার সঠিক ব্যবহারের জন্য দরকার আইনের শাসন ও যথাযথ শিক্ষা ব্যবস্থা। এছাড়াও অধিকাংশ উন্নত দেশের জনসংখ্যা কম হলেও তারা প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে জনসংখ্যার ঘাটতি পুষিয়ে অর্থনৈতিকভাবে আরও এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির এই অভূতপূর্ব অগ্রগতির কারণে উন্নত বিশ্বের সাথে অনুন্নত বিশ্বের পার্থক্য আরও প্রকট হচ্ছে। আর বিনিয়োগকারীগণও যেখানে লাভ বেশি সেখানে বিনিয়োগ করছে। বিনিয়োগ সেখানেই যাবে যেখানে রিটার্ন আছে, আছে শক্তিশালী পুঁজিবাজার আছে। উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এ সময় ল্যারি ফিংক এর সাথে একমত পোষণ করেন। দুইদিন ব্যাপি সউদী আরবের রিয়াদে আয়োজন করে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম। যেখানে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি, ব্ল্যাকরক কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ল্যারি ফিংক, ওলাইয়ান ফিন্যান্সিং কোম্পানির কোম্পানির নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান লুবনা এস. ওলাইয়ান এবং জেনারেল অ্যাটলান্টিক এর চেয়ারম্যান ও সিইও উইলিয়াম ফোর্ড।

এনবিআরের ১৩ ঘণ্টার অভিযান, উদ্ধার হয়নি কর ফাঁকির ৫০ কোটি টাকা

এনবিআরের ১৩ ঘণ্টার অভিযান, উদ্ধার হয়নি কর ফাঁকির ৫০ কোটি টাকা

প্রায় ১৩ ঘণ্টার বিরতিহীন অভিযানেও কর ফাঁকির ৫০ কোটি টাকা আদায় করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিশেষ দল। এনবিআরের চেয়ারম্যানের লিখিত অনুমোদনপত্র নিয়ে কর অঞ্চল-১৫ এর দুইজন ডেপুটি কমিশনারের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের টিম মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত সরকারের পাওনা টাকা আদায়ে ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান-১ শাখায় অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু আদালতে চলমান মামলার অজুহাত তুলে শেষ পর্যন্ত টাকা ছাড় করেনি ব্যাংকের গুলশান শাখা। নাছোড়বান্দা এনবিআর কর্মকর্তা লিখিত ব্যাখ্যা নিয়েই গুলশান শাখা ত্যাগ করেন। যদিও এনবিআর কর্তৃপক্ষ প্রথম থেকেই দাবি করেছে মামলার বিষয় ও এনবিআরের পাওনা কর সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। এ বিষয়ে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারের পাওনা ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ে ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান শাখায় বিশেষ টিম পাঠায় কর অঞ্চল-১৫। উল্কা গেমস লিমিটেড নামের একটি অনলাইন জুয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে কর ফাকির অভিযোগে দুই বছর আগে তদন্ত শুরু করে এনবিআরের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইসি। টাকা নিয়ে কোম্পানিটি যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য উল্কা গেমসের ব্র‍্যাক ব্যাংকে থাকা ৫৩ কোটি টাকা ফ্রিজ করে সিআইসি। তদন্তে প্রায় ৫০ কোটি টাকা কর ফাঁকির প্রমাণ পায় সংস্থাটি। তিনি আরও বলেন, এনবিআর লিগ্যাল প্রক্রিয়ায় সরকারের পাওনা আদায়ে একটি বিশেষ টিম অভিযানে যায়। কিন্তু ওই কোম্পানির অভ্যন্তরীণ সমস্যা উল্কা গেমস ও ভারতীয় কোম্পানি মুনফ্রগের মধ্যে মামলা চলমান রয়েছে। ওই অজুহাতে টাকা ছাড় করতে রাজি নয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এনবিআরের পাওনার সঙ্গে ওই মামলার কোনো যোগসাজশ নেই। করের বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। সে কারণে এনবিআর চেয়ারম্যানের লিখিত অনুমোদন নিয়েই রাজস্ব আদায় করতে গেছে বিশেষ টিম। এ প্রসঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংকের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার রশীদ আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যাংকে থাকা টাকা নিয়ে মামলা চলছে উল্কা গেমস ও ভারতীয় কোম্পানি মুনফ্রগের মধ্যে। মামলার জেরে এই টাকা লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। এনবিআর এই টাকা পাবে কি না, সে বিষয়ে শুনানি হবে আগামী ৫ মে। আদালতের সিদ্ধান্তের পরই টাকা ছাড় করা হবে। এনবিআর সূত্রে আরও জানা যায়, ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান শাখায় উল্কা গেমস লিমিটেডের নামে থাকা হিসাব ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ফ্রিজ করা ছিল। সিআইসির কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়ে যেতে পারে। সে কারণে হিসাব সচল করে টাকা আদায়ে কর অঞ্চল ১৫ কে নির্দেশনা দেয় সিআইসি। আদেশ পেয়ে গুলশান শাখায় যান কর্মকর্তারা। তবে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ প্রায় ১৩ ঘণ্টা ব্যাংকে অবস্থান করেও টাকা ছাড়াই শাখা ত্যাগ করতে বাধ্য হন কর কর্মকর্তারা। টাকা না পেলেও লিখিত ব্যাখ্যা নিয়ে যায় কর অঞ্চল-১৫ এর কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে এনবিআর মনে করছে— ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এমন আচরণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যাখ্যায় যা বলা হয়েছে কর অঞ্চল-১৫ এর ডেপুটি কমিশনার ফজলুল ইসলাম বরাবর দাখিল করা এক পত্রে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংক গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক হাসান মাহমুদ। ব্যাখ্যায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্র্যাক ব্যাংকের আইনি বিভাগ থেকে আমরা মতামত নিয়েছি। সেখানে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতের ইস্যু করা কোম্পানির মামলার বিষয়টি বলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনায় ব্র্যাক ব্যাংক তাদের কাছে রক্ষিত উল্কা গেমস লিমিটেডের অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করা হয়েছে। আদেশ প্রাপ্তির পর ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি আরও একটি কোম্পানির পক্ষ থেকেও আবেদন পায়। আদালতের শুনানির পর ওই আবেদনটিও মঞ্জুর করা হয়েছে। ব্যাংক আবেদন পর্যালোচনা করে তাদেরকে পুরো বিষয়টি অবগত করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে— ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর এনবিআর সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের (সিআইসি) নির্দেশনায় হিসাবটি ফ্রিজ হিসাবে চিহ্নিত করা আছে। আগামী ৫ মে এ বিষয়ে আদালতের কোম্পানি কোর্ট নং ২৬ এর ১৩ নম্বর আইটেম হিসাবে শুনানি হবে। যেহেতু বিষয়টি এখনও বিচারাধীন এবং উল্লিখিত ইস্যুটি ৫ মে পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। বিচারাধীন বিষয়টি নিয়ে আমরা পে-অর্ডার দিতে পারি না। এ জাতীয় অনুরোধ গ্রহণ করার অবস্থানে নেই, কারণ এটি আদালত অবমাননার দিকে নিয়ে যেতে পারে। আশা করছি আপনারা আমাদের অবস্থান বুঝতে পেরেছেন।

বাগদানের পরও যে কারণে অভিষেককে বিয়ে করেননি কারিশমা

বাগদানের পরও যে কারণে অভিষেককে বিয়ে করেননি কারিশমা

বলিউড জানত শিগগিরই বিয়ে করবেন কারিশমা কাপুর ও অভিষেক বচ্চন। তখন ২০০২ সাল, এক পার্টিতে সবাইকে চমকে দিয়ে অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চন ঘোষণা করেছিলেন ছেলের বাগদানের সেই তথ্য। বলিউডের অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, কারিশমা কাপুরের মা জানিয়েছিলেন, কম প্রতিষ্ঠিত অভিষেকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে চান না বলেই ভাঙে বিয়ে। বলিউডের অন্দরমহল বলছে, তা সঠিক নয়। সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, কারিশমা চেয়েছিলেন অমিতাভের বাড়ি জলসাতে না থাকতে। অভিষেককে নিয়ে আলাদা থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাবা অন্তপ্রাণ অভিষেক নিজের বাবার সঙ্গে এমনটা করতে পারেননি। একসঙ্গে থাকাতেই বিশ্বাসী ছিলেন অমিতাভ। তাই আলাদা হতে পারবেন না বলে কারিশমাকেই জীবন থেকে দূরে সরান অভিষেক। শোনা যায়, কারিশমা নাকি আরও দাবি করেন, বচ্চন পরিবারের অর্ধেক সম্পত্তি লিখে দিতে হবে তার হবু স্বামীকে। এই কথাও মানেনি অমিতাভের পরিবার। দিন যায়, বছর যায়, বচ্চন পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয়নি কারিশমার। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু সেই বিয়ে সুখের হয়নি। যদিও এই মুহূর্তে ঐশ্বরিকে নিয়ে সুখের সংসার অভিষেকের। রয়েছে এক কন্যাও। মাঝে তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন সামনে এলেও তা নেহাতই রটনা।

ইদুনা পার্কে হার সঙ্গী পিএসজির

ইদুনা পার্কে হার সঙ্গী পিএসজির

সিগনাল ইদুনা পার্ক থেকে বিদায়ের আগে হারই সঙ্গী হলো পিএসজির। নিকলাস ফুলক্রাগের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে স্বাগতিক বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। পিএসজির খেলোয়াড়রা মনে মনে নিশ্চয় অখুশি। তবে কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগের কথা মনে করে কিছুটা স্বস্তি খুঁজতেই পারেন তারা। বার্সেলোনার বিপক্ষে প্রথম লেগ শেষে ৩-২ গোলে পিছিয়ে ছিল পিএসজি। দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমির টিকিটও পেয়ে যায় তারা। বার্সেলোনা ম্যাচের মতো ঘরের মাঠে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষেও তেমন কিছুই করতে চাইবে পিএসজি। সেখানে কিলিয়ান এমবাপ্পেই বড় ভরসা কোচ লুইস এনরিকের। তবে ফরাসি সুপারস্টার প্রথম লেগে তেমন প্রভাব রাখতে পারলেন না, গড়তে পারলেন না ব্যবধান। অবশ্য ম্যাচে প্রথম আক্রমণটা শাণিয়েছিল পিএসজিই। ১১ মিনিটে উসমান ডেম্বেলের কোণাকুনি শট চলে যায় ডান পোস্টের কিছুটা বাইরে দিয়ে। দুই মিনিট পর পিএসজিকে বাঁচান জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা। ৩৬ মিনিটে গিয়ে গোলের দেখা পায় বরুশিয়া। দূরপাল্লা থেকে ভেসে আসা শটে বল বুঝে নেন ফুলক্রাগ। মার্কুইনহোস তাকে ধরে ফেলার আগেই জাল বরাবর শট নেন জার্মান স্ট্রাইকার, দোন্নারুমাকে ফাঁকি দিয়ে বলও জালে। এগিয়ে যায় বরুশিয়া। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো গোল হয়নি।

#

ফেব্রুয়ারিতে চালু ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু, যেসব সুবিধা হবে

#

এবারের নির্বাচন পাতানো ছিল না : কাদের!

#

আগামী সপ্তাহে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল!

#

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ!

#

বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্টকার্ড দিচ্ছে ইসি!